প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান খুব ভালো করে রিভিশন দেবে। কারণ পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসে। রচনামূলক অংশে প্রথম অধ্যায় বাদে অবশিষ্ট ২৪টি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসবে। এমনকি মনে রেখো, অধ্যায়ের ভেতর থেকে পরিবর্তন করেও প্রশ্ন আসতে পারে।
পদার্থবিজ্ঞানের বড় প্রশ্নগুলোতে কয়েকটি ছোট প্রশ্ন মিলিয়ে একটি প্রশ্ন হয়ে থাকে। পরীক্ষায় প্রশ্ন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে পড়ে নেবে। তারপর যে প্রশ্নটি নির্ভূলভাবে উত্তর করতে পারবে প্রথমে সেটির উত্তর করবে। উত্তরের ভাষা সহজ সরল ও প্রাঞ্জল হতে হবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে লিখলে পুরো নম্বরই পাওয়া সম্ভব। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর ছোট হলেও নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। অনেক ছাত্রছাত্রী সংক্ষিপ্ত প্রশ্নকে কম গুরুত্ব দেয় যা একেবারেই ঠিক নয়। পরীক্ষায় এ+ পেতে হলে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরে পুরো নম্বর পাওয়াটা জরুরি।
জেনে রাখো :
১. সূত্র, নীতি, তত্ত্ব ইত্যাদি সঠিক হলে পূর্ণ নম্বর পাবে; আংশিক ভুল করলে কোনো নম্বর পাবে না। কোনো বিষয়ে একাধিক সূত্র থাকলে সে ক্ষেত্রে কোনো অংশ ভুল করলে শুধু সেই অংশের নম্বর কাটা যাবে।
২. উদাহরণসহ সংজ্ঞার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সংজ্ঞা ও উদাহরণ লিখলে অবশ্যই পূর্ণ নম্বর পাবে। এক্ষেত্রে সংজ্ঞা ভুল করলে শুধু উদাহরণের জন্য আংশিক নম্বর পেতে পারো। যেসব ক্ষেত্রে সংজ্ঞার সঙ্গে চিত্র প্রয়োজন সেসব ক্ষেত্রে চিত্র না দিলে পূর্ণ নম্বর পাবে না।
৩. কোনো বর্ণনায় সংজ্ঞার সঙ্গে আনুষঙ্গিক সব বর্ণনা লিখলে পূর্ণ নম্বর পাবে।
৪. পার্থক্য বা তুলনামূলক প্রশ্নোত্তরে প্রতিটি পার্থক্য বা তুলনার জন্যে নির্ধারিত নম্বর পাবে।
৫. বর্ণনামূলক প্রশ্নে উত্তর সঠিক হলে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ নম্বর পেতে পারো।
চিত্র : প্রশ্নে উল্লেখ না থাকলেও প্রয়োজনীয় চিহ্নিত চিত্র দিতে হবে। প্রশ্নোত্তরের চিত্রের গুরুত্ব হিসেবে নম্বর বণ্টন করো হবে। চিত্র ছাড়া যেসব প্রশ্নোত্তর বর্ণনা করা যায় না সেসব ক্ষেত্রে চিত্র না থাকলে অথবা বর্ণনার সঙ্গে চিত্রের মিল না থাকলে ওই প্রশ্নোত্তরে কোনো নম্বর পাবে না। বৈদ্যুতিক বর্তনী ও আলোকীয় চিত্র ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় দিক না দেখালে শুধু চিত্রের নম্বর কাটা যাবে।
গাণিতিক প্রমাণ : গাণিতিক প্রমাণ, সূত্রের প্রতিপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনো গাণিতিক চিহ্ন, পদ বা রাশি ভুল লিখলে কোনো নম্বর পাবে না।
গাণিতিক সমস্যা : গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সঠিক ছক দিতে হবে। ভৌত রাশির পরিচিতি ও একক না লিখলে, সমাধান অসম্পূর্ণ থাকলে, উত্তর না লিখলে এবং একক লিখতে ভুল করলে প্রতিটি অংশের জন্য নির্ধারিত নম্বর কাটা যাবে। সূত্রে কোনো রাশির মান বসানোর সময় একক উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য, একক না লিখলে বা ভুল একক লিখলে বা ভুল ফল লিখলে সম্পূর্ণ নম্বর পাবে না। সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র না লিখলে বা সূত্র ভুল লিখলে বা সমাধান ভুল করলে কোনো নম্বর পাবে না। মনে রাখবে, গাণিতিক সমস্যার সমাধানগুলো দ্রুত ও নির্ভুল করার জন্যে বারবার অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন