এসএসসি পরীক্ষার্থীরা
শুভেচ্ছা রইল। বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ভালো নম্বর পাওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নাও।
১. প্রথমেই আলোচনা করি নৈর্ব্যক্তিক অংশ নিয়ে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৫০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে এ+ পাওয়ার জন্যে ব্যাকরণ অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যাকরণ অংশ থেকে ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে। একটু চেষ্টা করলেই এক্ষেত্রে ৪০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বরই পাওয়া সম্ভব। এজন্যে বাংলা ব্যাকরণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে, বুঝতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, পাঠ্যসূচির যেকোনো অংশ থেকেই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসতে পারে। প্রতিটি অধ্যায়ের সম্পূর্ণ অংশ ভালো করে পড়া না থাকলে অনুমানের ওপর নির্ভর করে সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আবার ব্যাকরণ অংশটি থেকে মুখস্থ করেও ভালো করা যাবে না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অধ্যায় ভাগ করে নিয়ে কোন অংশে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেটি বুঝে পড়বে। সকল অধ্যায় খুব মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় অংশগুলো মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে এবং বারবার রিভিশন দেবে। বাকি ১০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে পত্র ও অনুবাদ অংশ থেকে, সেটি অনেক সহজ, একটু চেষ্টা করলেই ১০ নম্বর পাওয়া যায়। পত্র ও অনুবাদের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদসহ ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে তোমাদের। তবে মনে রাখতে হবে, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যত্তিক অংশের ৫০ নম্বরের মধ্যে ব্যাকরণ অংশটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
২. বাংলা দ্বিতীয়পত্রের এ+ পাওয়ার জন্যে রচনামূলক অংশের ভূমিকাও কোনো অংশে কম নয়। রচনামূলক অংশে সাধারণত গতানুগতিক ধারায় প্রশ্ন হয়ে থাকে। অনুবাদ, সারাংশ/সারমর্ম, পত্র বা দরখাস্ত, ভাবসম্প্রসারণ ও রচনা মিলে মোট পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়।
অনুবাদ করার সময় প্রশ্নপত্র থেকে ইংরেজি অংশটি কমপক্ষে তিনবার পড়ে নেবে। প্রদত্ত অংশটির মূল ভাবটি বুঝে নিয়ে সহজ-সরল-প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করবে। মাত্র চার-পাঁচ চরণের ছোট্ট অনুবাদে কাটাকাটি না করাই ভালো।
সারাংশ বা সারমর্মের জন্যে নির্ধারিত অংশ দু-তিনবার পড়ে নিয়ে মূল ভাবটি সংক্ষেপে তিন-চার চরণের মধ্যে লিখে শেষ করতে হবে।
ভাবসম্প্রসারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম পড়ে না, না পড়লেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনটি প্যারা মাথায় রেখে লিখলেই চলবে। প্রথম প্যারায় উদ্ধতাংশটির মূল ভাব দুটি চরণে লিখবে, পরে বিশ্লেষণ এবং শেষে মন্তব্য রাখবে। শিরোনাম লিখতেও পারো আবার না লিখলেও চলে।
পত্র বা দরখাস্তের তিনটি প্রশ্ন থাকে, পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী উত্তর লিখতে পারে। তবে নিয়মকানুনের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখা দরখাস্ত ছাড়া অন্য সব পত্রে খাম দিতে হবে।
প্রশ্নপত্রে পাঁচটি প্রবন্ধ/রচনা উল্লেখ থাকে। যেকোনো একটি লিখতে হয়। কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখে সাজেশন তৈরি করে ১৫-২০টি রচনা পড়লেই কম পড়তে পারে। প্রবন্ধ/রচনাটি যেন যথাসম্ভব তথ্যসমৃদ্ধ, উদ্ধৃতিবহুল ও সর্বশেষ তথ্যসমৃদ্ধ হয। আয়তনে দীর্ঘ হলে ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করবে, তবে সময়ের দিকে লক্ষ রাখবে অবশ্যই।
পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রশ্নপত্রটি দুবার পড়ে নিয়ে সচেতনভাবে উত্তর লেখা শুরু করবে। উত্তর সঠিক, সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি হাতের লেখা যেন পরিচ্ছন্ন,ঝকঝকেহয়তবেইসহজহবেকাঙ্ক্ষিতফল।
শুভেচ্ছা রইল। বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ভালো নম্বর পাওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নাও।
১. প্রথমেই আলোচনা করি নৈর্ব্যক্তিক অংশ নিয়ে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৫০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে এ+ পাওয়ার জন্যে ব্যাকরণ অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যাকরণ অংশ থেকে ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে। একটু চেষ্টা করলেই এক্ষেত্রে ৪০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বরই পাওয়া সম্ভব। এজন্যে বাংলা ব্যাকরণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে, বুঝতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, পাঠ্যসূচির যেকোনো অংশ থেকেই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসতে পারে। প্রতিটি অধ্যায়ের সম্পূর্ণ অংশ ভালো করে পড়া না থাকলে অনুমানের ওপর নির্ভর করে সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আবার ব্যাকরণ অংশটি থেকে মুখস্থ করেও ভালো করা যাবে না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অধ্যায় ভাগ করে নিয়ে কোন অংশে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেটি বুঝে পড়বে। সকল অধ্যায় খুব মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় অংশগুলো মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে এবং বারবার রিভিশন দেবে। বাকি ১০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে পত্র ও অনুবাদ অংশ থেকে, সেটি অনেক সহজ, একটু চেষ্টা করলেই ১০ নম্বর পাওয়া যায়। পত্র ও অনুবাদের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদসহ ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে তোমাদের। তবে মনে রাখতে হবে, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যত্তিক অংশের ৫০ নম্বরের মধ্যে ব্যাকরণ অংশটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
২. বাংলা দ্বিতীয়পত্রের এ+ পাওয়ার জন্যে রচনামূলক অংশের ভূমিকাও কোনো অংশে কম নয়। রচনামূলক অংশে সাধারণত গতানুগতিক ধারায় প্রশ্ন হয়ে থাকে। অনুবাদ, সারাংশ/সারমর্ম, পত্র বা দরখাস্ত, ভাবসম্প্রসারণ ও রচনা মিলে মোট পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়।
অনুবাদ করার সময় প্রশ্নপত্র থেকে ইংরেজি অংশটি কমপক্ষে তিনবার পড়ে নেবে। প্রদত্ত অংশটির মূল ভাবটি বুঝে নিয়ে সহজ-সরল-প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করবে। মাত্র চার-পাঁচ চরণের ছোট্ট অনুবাদে কাটাকাটি না করাই ভালো।
সারাংশ বা সারমর্মের জন্যে নির্ধারিত অংশ দু-তিনবার পড়ে নিয়ে মূল ভাবটি সংক্ষেপে তিন-চার চরণের মধ্যে লিখে শেষ করতে হবে।
ভাবসম্প্রসারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম পড়ে না, না পড়লেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনটি প্যারা মাথায় রেখে লিখলেই চলবে। প্রথম প্যারায় উদ্ধতাংশটির মূল ভাব দুটি চরণে লিখবে, পরে বিশ্লেষণ এবং শেষে মন্তব্য রাখবে। শিরোনাম লিখতেও পারো আবার না লিখলেও চলে।
পত্র বা দরখাস্তের তিনটি প্রশ্ন থাকে, পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী উত্তর লিখতে পারে। তবে নিয়মকানুনের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখা দরখাস্ত ছাড়া অন্য সব পত্রে খাম দিতে হবে।
প্রশ্নপত্রে পাঁচটি প্রবন্ধ/রচনা উল্লেখ থাকে। যেকোনো একটি লিখতে হয়। কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখে সাজেশন তৈরি করে ১৫-২০টি রচনা পড়লেই কম পড়তে পারে। প্রবন্ধ/রচনাটি যেন যথাসম্ভব তথ্যসমৃদ্ধ, উদ্ধৃতিবহুল ও সর্বশেষ তথ্যসমৃদ্ধ হয। আয়তনে দীর্ঘ হলে ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করবে, তবে সময়ের দিকে লক্ষ রাখবে অবশ্যই।
পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রশ্নপত্রটি দুবার পড়ে নিয়ে সচেতনভাবে উত্তর লেখা শুরু করবে। উত্তর সঠিক, সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি হাতের লেখা যেন পরিচ্ছন্ন,ঝকঝকেহয়তবেইসহজহবেকাঙ্ক্ষিতফল।
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন